ঢাকা: রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে দুই বাসের প্রতিযোগিতার কারণে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহতের প্রতিবাদে সহপাঠীরা বিক্ষোভ করছে। এতে গাড়ি চলাচল কিছু সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। নিরাপদ সড়কের দাবিতে তাদের অনেকেই আজ সোমবার সকালে রাস্তায় নেমে এসেছে।
এদিকে শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় আয়োজিত প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে পুলিশ। শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনও করতে দেয়নি পুলিশ। তবে প্রতিবাদে আজও সড়কে কাঁদছে শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের কারণে এয়ারপোর্ট রোডে রেডিসন হোটেলের নিকটবর্তী ফ্লাইওভার এলাকায় গাড়ি চলাচল কিছু সময়ের জন্য ব্যাহত হয়। তাদের অনেকেই গতকালের দুর্ঘটনাস্থলের দিকে ভিড় করেছে।
গতকালের ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত ১২ জন। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর। আহতদের কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল ও সিএমএইচে ভর্তি করা হয়েছে।
গতকাল রবিবার এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা শতাধিক গাড়ি ভাঙচুর ও একটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। শিক্ষার্থীদের চাপা দেওয়া বাসের চালককে আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
গতকাল রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জাবালে নূর পরিবহনের দুটি বাস (ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৯২৯৭ ও ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৭৬৫৭) মিরপুরের দিক থেকে বিমানবন্দর সড়কের দিকে আসার পথে ফ্লাইওভারেই একে অপরকে ওভারটেক করার চেষ্টা করে। পাল্লা দিয়েই বাস দুটি ফ্লাইওভার থেকে নামছিল। উড়াল সড়কের গোড়ায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থীদের কয়েকজন বাসের জন্য অপেক্ষা করছিল, কয়েকজন দেয়ালের পাশ ঘেঁষে হেঁটে যাচ্ছিল সামনের দিকে।
ঠিক ওই মুহূর্তে ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৯২৯৭ নম্বর গাড়িটি চাপা দেয় শিক্ষার্থীদের। ঘটনাস্থলেই নিহত হয় এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্রী নাদিয়া খানম মীম ও দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবদুল করিম রাজীব। আহত হয় সজিব, আরিসা আক্তারসহ ১০-১২ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর।